Ticker

6/recent/ticker-posts

Advertisement

Responsive Advertisement

৮ম শ্রেণীর এসাইনমেন্ট বাংলা সমাধান ২০২১

 সকল সপ্তাহের অষ্টম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১ | ৮ম শ্রেণীর এসাইনমেন্ট মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dshe.gov.bd -এর প্রকাশ করা হয়েছে । ২০২০ সালের মত এ বছরও ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের এ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে। আগামী ২০ মার্চ ২০২১ তারিখ থেকে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজের মাধ্যমে মূল্যায়ন প্রক্রিয়া কার্যকর হবে। চলুন, অষ্টম শ্রেণীর এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর ২০২১ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জেনে নেই।



৮ম শ্রেণীর এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১

২০ মার্চ ২০২১ তারিখ অর্থাৎ শনিবার হতে ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্দিষ্ট কিছু কাজ দেওয়া হবে যা শিক্ষার্থীদের শেষ করে সপ্তাহের শেষের দিক স্কুলে জমা দিতে হবে। প্রতি সপ্তাহ শুরুর ০২ দিন পূর্বে এভাবে বিভিন্ন বিষয়ের উপর এ্যাসাইনমেন্ট ধারাবাহিকভাবে দেওয়া হবে। এ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমেই অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। এ্যাসাইনমেন্ট জমা দিয়ে নতুন এ্যাসাইনমেন্ট শিক্ষার্থীরা চাইলে Online থেকেও নিতে পারবে আবার স্কুল থেকেও নিতে পারবে।

এক নজরে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ
  • ২য় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২১
  • মোট বিষয় : ২টি

 ২য় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান

অষ্টম শ্রেণীর ২য় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট ২৫ মার্চ ২০২১ তারিখে  প্রকাশ করা হয়েছে । ২য় সপ্তাহে দুটি বিষয়ের উপর নির্ধারিত কাজ জমা দিতে হবে । নিচে এসাইনমেন্টের প্রশ্ন  ও উত্তর দেওয়া হল :

Cover Page 1 (admissionwar.com) বিভিন্ন ডিজাইনের এসাইনমেন্ট কাভার পেইজ (এক্সক্লুসিভ)

  • ইংরেজী এসাইনমেন্ট

Lesson 4: Our ethnic friends(2) Suppose, you have a foreign friend who is very curious to know about the ethnic people of your country. Now, prepare a fact file on them. You can tell about their dress, food, culture, sports and pastimes in 200 words. Use narratives, images, pictures, tables, or information as needed.

উত্তর : খুব শীঘ্রই দেওয়া হবে ।

  • বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট

১৭৫৭ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত যে ।কোনাে ১০টি উল্লেখযােগ্য ঘটনার সময়কালসহ একটি পােস্টার তৈরি কর।
সংকেত: ১। সাল উল্লেখ ২। ঘটনার বর্ণনা ৩। উপস্থাপনায় বৈচিত্র্য

উত্তর : খুব শীঘ্রই দেওয়া হবে ।

১ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান

  • বাংলা এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর

কেস স্টাডি: রিনা ও মলি স্কুলে নতুন বই আনতে গিয়েছে। বই নিয়ে বের হওয়ার সময় তারা স্কুলের মাঠে একটি দামি মােবাইল ফোন পেল। তারা তাদের সহপাঠী | রনির সাথে বিষয়টি নিয়ে আলােচনা করে। তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে, ফোনের প্রকৃত মালিককে এটি ফেরত দেবে। কোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারা প্রকৃত মালিককে ফেরত দিতে পারে, সেই ধাপসমূহের বর্ণনা


উত্তর :

মােবাইল ফোন ফিরিয়ে দেওয়ার বিভিন্ন ধাপ বা উপায় নিম্নে তুলে ধরা হলাে

 প্রথম ধাপ বা উপায়: স্কুলের যদি প্রচারণার জন্য মাইক থাকে তাহলে সেই মাইকে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে হবে- “একটি হারানাে বিজ্ঞপ্তি, স্কুলের মাঠে একটি মােবাইল ফোন পাওয়া গিয়েছে। যথাযথ তথ্য সাপেক্ষে স্কুলের অফিস কক্ষ থেকে ইহার মালিককে মােবাইল ফোনটি গ্রহণ করার জন্য বলা যাচ্ছে।” আর যদি মাইক না থাকে তাহলে সবার উদ্দেশ্যে তা উচ্চকণ্ঠে বলতে হবে।

 দ্বিতীয় ধাপ বা উপায়: প্রত্যেক ক্লাস রুমে গিয়ে বলতে হবে- “আমরা একটি মােবাইল ফোন পেয়েছি। কারাে মােবাইল ফোন হারিয়ে গেলে আমাদের সাথে যােগাযােগ করবেন। যথাযথ তথ্য সাপেক্ষে ইহার মালিককে মােবাইল ফোনটি
‘ দেওয়া হবে।”

 তৃতীয় ধাপ বা উপায়: মানুষকে জানানাে যে, “আমরা একটি মােবাইল ফোন পেয়েছি। কেউ মােবাইল ফোন খুঁজলে আমাদের কথা বলবেন যে, আমরা মােবাইল ফোনটি পেয়েছি। যথাযথ তথ্য সাপেক্ষে তাকে আমরা মােবাইল ফোনটি দিয়ে দিব।

 চতুর্থ ধাপ বা উপায়: মােবাইল ফোনের নম্বর বের করে তার মােবাইল ফোনের মালিক)। নিকটতম লােকের নম্বর বের করে তাকে ফোন দিয়ে জানতে হবে যে, ‘এই ফোনটি কার তার সঠিক পরিচয় নেওয়া।

 পঞ্চম ধাপ বা উপায়: এলাকার দেওয়ালে পােস্টার মেরে মানুষকে জানিয়ে দেওয়া যে, “একটি মােবাইল ফোন পাওয়া গিয়েছে। যথাযথ তথ্য সাপেক্ষে ফোনটির মালিককে মােবাইল ফোনটি দেওয়া হবে।

 ষষ্ঠ ধাপ বা উপায়: প্রধান শিক্ষককের কাছে ফোনটি জমা দেওয়া এবং স্যারকে বলা যে, আমরা এটি কুড়িয়ে পেয়েছি। কেউ খোঁজ করলে যাচাই করে ফোনের মালিককে দয়া করে ফোনটি দিয়ে দিবেন।

 সপ্তম ধাপ বা উপায়: ফোনটি নিকটতম থানায় জমা দেওয়া। যাতে তারা আসল মালিককে সনাক্ত করে মােবাইল ফোনটি দিয়ে দিতে পারে।

আসল মালিক চেনার জন্য তাকে কয়েকটি প্রশ্ন করতে হবে। যথা-

মােবাইল ফোনটি কোন রঙের?
মােবাইল ফোনটি কোন মডেলের?
 মােবাইল ফোনে থাকা সিমের নম্বরটা বলেন?

এই প্রশ্নগুলের সঠিক উত্তর দিতে পারলে তাকে মােবাইল ফোনটি দিয়ে দেওয়া যাবে।


  • ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট সমাধান

মনে কর তােমার ঘনিষ্ঠ একজন সহপাঠীর আচরণে মুনাফিকের লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়, তাকে প্রকৃত মুমিন বান্দা হতে সহায়তা করার জন্য তুমি কী কী উদ্যোগ নিতে পারাে- এ। সম্পর্কিত একটি কর্মপরিকলপনা তৈরি করাে।

সংকেত: ১। সহপাঠীর কোন কোন আচরণে মুনাফিকের লক্ষণ তার উল্লেখ । ২। উক্ত আচরণগুলাে কেন ক্ষতিকর তার ব্যাখ্যা। ৩। উক্ত বিষয়ের কুরআন ও হাদিসের উদ্ধৃতি ৪। সহপাঠীর মুনাফিকী আচরণ দূর করার উপায়। ৫। সহপাঠীকে মুমিন হওয়ার জন্য তােমার পদক্ষেপ।

উত্তর :

 আমার ঘনিষ্ঠ সহপাঠীর আচরণে কপটতা, ভন্ডামি ও দ্বিমুখী নীতি প্রভৃতি লক্ষণ প্রতিফলিত হয়েছে। যাদের মধ্যে এসব বৈশিষ্ট্য রয়েছে তারা-ই মুনাফিক।। নৈতিক ও মানবিক আদর্শের বিপরীত কাজ করাই এদের ধর্ম। মুনাফিকরা মুখে ভাল কথা বললেও তাদের অন্তর থাকে কুফরিতে পূর্ণ। এমন মানসিকতারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে আমার সহপাঠীর আচরণে।। আমার সহপাঠী প্রায়ই মিথ্যা কথা বলে এবং প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে। এগুলাে মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য। কারণ মুনাফিকের চিহ্ন তিনটি। মিথ্যা বলা, ওয়াদা ভঙ্গ করা এবং আমানতের খিয়ানত করা। এই লক্ষণগুলাে যখন কারও মধ্যে দেখা। যায় তখন তাকে মুনাফিক বলে। সুতরাং আমার সহপাঠী আচরণে মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেয়েছে। হাদিসে মুনাফিকদের চরিত্রকে এভাবে বর্ণনা করা হয়েছে

“মুনাফিকের নির্দশন তিনটি – যখন কথা বলে মিথ্যা বলে, ওয়াদা করলে  তা ভঙ্গ করে এবং যখন তার নিকট কোনাে কিছু গচ্ছিত রাখা হয় তখন তার  খিয়ানত করে।” (সহিহ বুখারি ও সহিহ্ মুসলিম)।

 নিফাক একটি মারাত্মক পাপ। এটি নৈতিকতা ও মানবিকতার বিপরীত কাজ। নিফাকের ফলে মানুষ অন্যায় ও অশ্লীল কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে। ফলে মানুষের নৈতিক ও মানবিক মূল্যবােধ বিনষ্ট হয়। নিফাকের দ্বারা মানুষের মধ্যে অবিশ্বাস ও সন্দের সৃষ্টি হয়। ফলে মানব সমাজে মারামারি, হানাহানি ও অশান্তির সৃষ্টি। হয় মুনাফিকরা ইসলামের চরম শত্র। তারা বন্ধুবেশে মুসলমানদের বড় ধরনের। ক্ষতি সাধন করে। এর কারণে সমাজে নানা ধরনের অন্যায় ও অনৈতিক কাজের। | প্রসার ঘটে। এজন্যই দুনিয়াতে মুনাফিকরা ঘৃণিত মনে হয় এবং আখেরাতেও। তাদের জন্য কঠোর আযাব প্রস্তুত রয়েছে। আমার সহপাঠী প্রায়ই মিথ্যা কথা বলে এবং প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে। এগুলাে । মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য। আমার ঘনিষ্ঠ সহপাঠীর আচরণে এ বিষয়টিই ফুটে উঠেছে। উপরের আলােচনা থেকে বলা যায় যে, আমার সহপাঠীর মুনাফিকির পরিনাম
অত্যন্ত ভয়াবহ।

 মুনাফিকদের অবস্থা সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন – “যখন তারা (মুনাফিকরা) ইমানদারদের সাথে মিলিত হয় তখন বলে। আমরা ইমান এনেছি। আর যখন তারা গােপনে তাদের শয়তানদের সাথে মিলিত হয তখন বলে, আমরা তােমাদের সাথেই আছি। আমরা শুধু তাদের সাথে ঠাট্টাতামাশা করে থাকি।” (সূরা আল-বাকারা, আয়াত ১৪)।

মুনাফিকির পরিণাম সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “নিশ্চয়ই মুনাফিকদের স্থান জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে।” (সূরা আন-নিসা, আয়া-১৪৫)।

 মুনাফিকির আচরণ দূর করার উপায়:

১. কথা বলার সময় সত্য কথা বলবে, মিথ্যা কথা বলবে না।

২. কাউকে কথা দিলে তা রক্ষা করবে।

৩. আমানত রক্ষা করবে। যেমন কারাে কাছে কোনাে জিনিস ও সম্পদ আমানত রাখলে তা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করবে এবং ফেরত দিবে। কারাে সাথে কথা দিলে তা রক্ষা করবে। এছাড়াও রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবে না।।

 আমার সহপাঠীকে মুমিন করার জন্য আমার কর্মপরিকল্পনা:

১। সহপাঠীকে সত্য কথা বলার জন্য উৎসাহিত করব এবং সত্য কথা বলার। সুফল বােঝানাের চেষ্টা করব।

২। তাকে মিথ্যা বলতে নিরুৎসাহিত করব এবং মিথা বলার পরিণতি সম্পর্কে। ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।

৩। কারাে সাথে ওয়াদা করলে তা রাখার গুরুত্ব বােঝাব এবং ওয়াদা না রাখার পরিণাম সম্পর্ক ধারণা দিব।

৪। আমানতের গুরুত্ব বােঝানাের চেষ্টা করব এবং আমানতের খেয়ানত করার। কুফল সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করব।।

আরও পড়ুন : সকল শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর

  • হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর

“সকল সাধকেরই মূল উদ্দেশ্য পরম পুরুষকে পাওয়া।” উক্তিটির যৌক্তিকতা নিরুপণ করাে।

উত্তর :

ঈশ্বর সর্বশক্তিমান। তিনি এক ও অদ্বিতীয়।তার উপরে আর কেউ নেই। তিনিই পরম পুরুষ। ঈশ্বরের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যখন কেউ গভীর ধ্যানে মগ্ন হয় তখন তাকে সাধনা বলা হয়। সাধনার মাধ্যমে ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভ করা যায়। ঈশ্বর যখন সাধনায় সন্তুষ্ট হােন তখন তিনি তার ভক্তের মনােবাঞ্চা পুরণ করেন। ঈশ্বরই হচ্ছেন পরম পিতা,তিনিই পরম পুরুষ।ঈশ্বরের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সাধনা করা হয় অর্থাৎ সাধনার উদ্দেশ্যই হচ্ছে পরম পুরুষকে পাওয়া।

আমার জানা তিনজন সাধক হচ্ছেন অমল ঠাকুর,স্বামী আচার্য চয়ন,সন্ধ্যা দেবী। অমল ঠাকুর একজন শিব ভক্ত। তিনি ঈশ্বরের আরাধনা হিসেবে ধ্যানকেই বেছে নিয়েছেন। একনিষ্ঠ মনে নিরিবিলি বসে ঈশ্বরের আরাধনা করাকেই ধ্যান বলেন ।

অমল ঠাকুরের কাছে ঈশ্বর নিরাকার এবং ধ্যানই হচ্ছে ঈশ্বর লাভের পথ তাই তিনি একজন জ্ঞানী ভক্ত।
স্বামী আচার্য রােজ সকালে উনার বাড়ির মন্দিরে ঈশ্বরের পুজা অর্চনা করেন এবং রােজ সম্পূর্ণ গীতা পাঠ করেন, নৈবেদ্য চড়ান তার কাছে ঈশ্বর সাকার। তাই ঈশ্বরের প্রতিমা বা প্রতীক সামনে রেখেই তিনি করেন তার সাধনা। তার কাছে এটাই
পরম পুরুষকে পাওয়ার পথ।

অন্যদিকে সন্ধ্যা দেবী ধ্যানও করেন আবার পুজা অর্চনাও করেন। তার কাছে ঈশ্বরকে মন দিয়ে ডাকাই হচ্ছে তাকে পাওয়ার একমাত্র পথ।তিনি ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করার জন্য সবকিছুই করতে চান। তাই তার কাছে ঈশ্বর
সাকার-নিরাকার দুটোই। তাদের সাধনার পথ পৃথক ।একজনের কাছে ঈশ্বর সাকার তাে আরেকজনের কাছে ঈশ্বর নিরাকার আবার অন্যজনের কাছে ঈশ্বর সাকার ও নিরাকার উভয়ই। তবে তারা সবাই কিন্তু একই ঈশ্বরের সাধনায় ব্রত। এক ঈশ্বরকে পাওয়ার আকাঙখা থেকেই তাদের সাধনার পথে পা বাড়ানাে।

ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয় তাই একাধিক ঈশ্বরের আরাধনা কখনােই সম্ভব নয়। যে যেভাবেই সাধনা করুক না কেন তাদের সবারই মূল উদ্দেশ্য পরম পুরুষকে পাওয়া। সেক্ষেত্রে আমার জানা তিনজন সাধকের সাধনার পথ পৃথক হলেও তাদের উদ্দেশ্য ওই এক পরম পুরুষেই গিয়ে মিলেছে। তাই ভক্ত যতজনই হােক আর যে যেভাবেই ভজনা করুক প্রত্যেকের জন্য ঈশ্বর হলেন একজন। এক ঈশ্বরের শিষ্য সবাই, সবারই উদ্দেশ্য ঈশ্বর তথা পরম পুরুষের সান্নিধ্য লাভ করা,তাকে
পাওয়া। তাদের মত ও পথ আমায় ভীষণভাবে প্রভাবিত করেছে। তাদের সাধনা দেখে আমি এটা বুঝতে পেরেছি যে এই জীবনে আমাদের প্রধান কাজই হচ্ছে ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের প্রচেষ্টা। পরম পুরুষকে না পেলে কারােরই মােক্ষলাভ ঘটবে না।
আমি এটা জানতে পেরেছি যে,ঈশ্বরকে লাভের জন্য তাকে মন দিয়ে ডাকাই হচ্ছে সহজ পথ। ঈশ্বরকে যে যেভাবেই ভজনা করুক যদি সে মন দিয়ে তাকে ডাকতে পারে তাহলে ঈশ্বরও তার ডাকে সাড়া দিয়ে থাকেন। ভক্তের ডাকে ভগবান সাড়া না দিয়ে থাকতে পারেন না। এখন আমিও রােজ গীতাপাঠ করি  ।প্রতিদিন স্নান করে ধ্যান করি।পুজা অর্চনাও করি।আমার উদ্দেশ্য তাদের মতাে এতটা গভীর না হলেও আমিও ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করতে চাই। কারন ভগবান ছাড়া ভক্তের কোনাে মূল্য
নেই। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত ঈশ্বরের নামে নজের জীবনকে সমাপিত করা। আমাদের জীবন দা করেছেন ঈশ্বর,তাই জীবনে চলার পথে তাকেই সবার উপরে রেখে চলতে হবে।ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করতে পারলেই জীবন হবে মধুময়।

 

  • খ্রিষ্টধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর

তুমি ধর্মানুরাগী, নিচের ঘটনাগুলাের ক্ষেত্রে তুমি যদি উপস্থিত থাকতে তাহলে কী করতে তা বর্ণনা কর।

১. দীক্ষাগুরু যােহনের মন পরিবর্তনের প্রচার

২. যীশুর শিষ্যদের উপর পবিত্র আত্মার অবতরণ

৩. পবিত্র আত্মার অনুপ্রেরণায় মারীয়ার জীবন যাপন

উত্তর : খুব শীঘ্রই দেওয়া হবে

  • বৌদ্ধধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর

পরিবার ও সমাজে জাতি, প্রথা, গােত্র, বর্ণ, পেশা নির্বিশেষে সকল শ্রেণির মানুষের মধ্যে কিছু বৈষম্য পরিলক্ষিত হয়। কন্যা সন্তানরাও এখনাে সমাজে অবহেলিত ও বৈষম্যের স্বীকার। তাই বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে গৌতম বুদ্ধ সাম্যনীতির অগ্রাধিকার দেন।

উপরের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে নিচের সংকেত অনুসরণ করে প্রতিবেদন আকারে লিখ।(৩০০ শব্দের মধ্যে)।

উত্তর :

ক. বুদ্ধের সাম্যনীতি

গেীতম বুদ্ধের সাম্যনীতি | সাম্যনীতি বলতে বৈষম্যহীনতা, ন্যায় বিচার, মৌলিক অধিকার, পারস্পরিক মর্যাদাবােধ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠা বােঝায়। সাম্নীতি হচেছ সর্বাধিক গ্রহণযােগ্য নীতি যার মাধ্যমে সর্বপ্রকার বৈষম্য দূর করে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। গৌতম বুদ্ধকে সাম্যনীতির প্রবক্তা বলা হয়। সাম্নীতির কারণেই বৌদ্ধধর্ম ভারতবর্ষের সীমারেখা অতিক্রম করে সমগ্র বিশ্বে প্রসারিত হয়েছে।

খ. তােমার দেখা সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি, গােত্র ও পেশাজীবী মানুষের মধ্যে বৈষম্য।

বুদ্ধের সময়কালে যেমন বিভিন্ন শ্রেণি, গােত্র ও পেশাজীবীর বৈষম্য ছিল আমাদের সমাজেও বিভিন্ন শ্রেণি, গােত্র ও পেশাজীবী মানুষের মধ্যে বৈষম্য লক্ষ্য করা যায়। তখনকার সময়েও যেমন চন্ডাল, মেথর, মুচি প্রভৃত পেশায় নিয়ােজিতদের নিম্নবর্ণ  হিসেবে অভিহিত করা হতাে বর্তমান সময়েও তাদের নিম্নবর্ণ হিসেবে দেখা হয়। যেটা আসলে মােটেও কাম্য নয়। আমাদের সমাজে এখনােও গােত্রের সমস্যা রয়ে গেছে বর্তমানে পরিলক্ষিত করা যায় এক গােত্রের লােক অন্য গােত্রের সাথে বিবাহ দিতে চায়। তাছাড়া নিম্ন শ্রেণির ছেলে-মেয়েদের সাথে উচ্চ শ্রেণির ছেলেমেয়েদের মিশতে দেয়া হয়না। যা মােটেও কাম্য নয়। ভিক্ষু আনন্দ চণ্ডাল কন্যার হাত থেকে পানি পান । করে সেই সংস্কারের মূলে কুঠারঘাত করেন।

গ. বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতার আলােকে তােমার দেখা কন্যা সন্তানদের বৈষম্যের স্বীকার এরুপ একটি ঘটনা।

আমাদের সমাজে কন্য সন্তানদের এখনাে অবহেলিত রূপে দেখা যায়। অনেকে মনে করেন কন্যা সন্তানরা ভবিষ্যতের প্রদীপনয়। যা মােটেও সঠিক নয়। আমার দেখা একজন প্রতিবেশি হলাে অধুরা রানী যার পাঁচটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তার জন্যে তার স্বামী, শ্বশুরশাশুড়ী সবাই তাকে অবহেলা করে কেন পুত্র সন্তান জন্ম দিতে পারে নাই। এ জন্যে এই বিষয়টা নিয়ে তাদের মাঝে প্রায়ই ঝগড়া লাগতাে। পরবর্তীতে দেখা যায় তাকে | ডিভাের্স দিয়ে তার স্বামী অন্য আরেকটি বিবাহ করে। ফলে দেখা যায় কন্যা সন্তানের ফলে ডিভাের্স পেতে হয়েছিলাে। তাই বলা চলে কন্যা সন্তানদের এখনােও অবহেলার চোখে দেখা হয়। যা মােটেও কাম্য নয়।

ঘ. বুদ্ধের সাম্যনীতির আলােকে সামাজিক বৈষম্য দূর করার উপায়গুলাের তালিকা।

বুদ্ধের সাম্যনীতির আলােকে সামাজিক বৈষম্য দূর করার উপায়গুলাের তালিকা নিচে দেওয়া হলাে

১। জাতিগত বিদ্বেষ দূর করে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে।

২। নারীপুরুষ বৈষম্য দূর করে সমান সুযােগ সৃষ্টি করা যেতে পারে।

৩। পেশা ও শ্রমের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে।

৪। সকলের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা যেতে পারে।

৫। সাম্যনীতির মাধ্যমে পরিবার থেকে রাষ্টীয় পর্যায়ে বিরাজমান সকল বৈষম্য দূর করা যেতে পারে ।

পরিশেষে বলা যায়, গৌতম বুদ্ধের সাম্যনীতি আমাদের পরিবার, সমাজ ও জাতীয় জীবনে ব্যাপক গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

২য় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট

প্রথম সপ্তাহের নির্ধারিত কাজ হাতে লিখে জমা দেওয়ার পর দ্বিতীয় সপ্তাহের কাজ দেওয়া হবে । ২য় সপ্তাহে ৬ষষ্ঠ শ্রেণীতে যেসকল বিষয়ের উপর এসাইনমেন্ট জমা দিতে হবে :-

  • ইংরেজী
  • বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

নোটিশ অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের ২০ সপ্তাহ পর্যন্ত এসাইনমেন্ট জমা দিতে হবে ।

শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু নির্দেশনা

এ্যাসাইনমেন্ট এর রূপরেখার সর্বজন স্বীকৃত তেমন কোনো কাঠামো নেই। প্রতিটা প্রতিষ্ঠানেরই তাদের নিজস্ব কাঠামো বা রুপরেখা থাকতে পারে। যদি ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অ্যাসাইনমেন্টের জন্য নির্দিষ্ট কোনো রূপরেখা দেওয়া হয় তা অবশ্যই মেনে চলতে হবে। তবে এ্যাসাইনমেন্ট সাধারণভাবে যে বিষয়গুলো আপনার লিখতে হবে তা হলোঃ-

ভূমিকাঃ এখানে সমস্যার একটি সু-স্পষ্ট বর্ণনা থাকবে। Assignment-এ ব্যবহৃত শব্দ ও পদগুলোর ডেফিনেশন বা সংজ্ঞা থাকবে এবং সমস্যা বা অ্যাসাইনমেন্ট এর সীমাবদ্ধতা এখানে লিখতে হবে। তাৎপর্য ও পটভূমি এর মধ্যেই থাকবে। এখানে আরোও কিছু থাকতে পারে। যেমনঃ আনুষঙ্গিক বই পত্রের পর্যালোচনা থাকতে পারে আবার সমস্যা বা বিষয়টির পরিধি বর্ণিত হতে পারে। মূল ব্যাপার হচ্ছে, ভূমিকায় পুরো অ্যাসাইনমেন্ট সম্পর্কিত মোটামুটি একটা ধারনা থাকবে।

মূল অংশঃ এই অংশে যুক্তিতর্কের মাধ্যমে বিষয়টির উত্তরণ ঘটাতে হবে। ভূমিকায় বর্ণিত সমস্যাটির প্রগতিশীল সমাধানের জন্য এখানে বিস্তারিত লেখা হয়। তবে পুরো Assignment-এর মূল অংশ এখানে উপস্থাপিত হবে। তবে এই অংশটিকে সচল রাখার জন্য অন্যকোন অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ের মধ্যে হারিয়ে গেলে চলবে না।

উপসংহারঃ এখানে পর্যবেক্ষণ, গবেষণা নির্বাচিত বিষয়টির রেজাল্ট উপস্থাপন করবে। এতে সমস্যার সমাধান এবং সমস্যার সমাধানের পথনির্দেশ থাকতে পারে আবার সাথে সাথে সুপারিশও থাকতে পারে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ