৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর ২০২১
সকল সপ্তাহের সপ্তম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর ২০২১ | ৭ম শ্রেণী এসাইনমেন্ট সমাধান মাওশি এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট dshe.gov.bd -এ প্রকাশিত হবে। করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন যাবৎ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের শিখন প্রক্রিয়া সচল রাখতে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে , যেভাবে গত বছর করা হয়েছিলো। চলুন, সপ্তম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর ২০২১ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জেনে নেই।
৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর ২০২১
কোভিড-১৯ অতিমারীর কারণে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চালু রাখতে গত বছরের মত এ বছরও এ্যাসাইনমেন্ট এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের উপর এ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে এবং সপ্তাহের শেষের দিকে শিক্ষার্থীদের উক্ত এ্যাসাইনমেন্ট শেষ করা স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে জমা দিতে হবে। এভাবে ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট ধারাবাহিক ভাবে শেষ করা হবে। চলুন এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানা যাক।
এক নজরে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ |
---|
|
সপ্তম শ্রেণীর এসাইনমেন্ট ২০২১
৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের প্রতি সপ্তাহে নির্দিষ্ট সংখ্যক এ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে। যা প্রতি সপ্তাহের বুধ বা বৃহঃপতি বার নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জমা দিতে হবে। এ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্নের উত্তর লেখার সময় শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতার পরিচয় দিতে হবে। গাইড থেকে অথবা অন্য কারো লেখা কপি করলে এ্যাসাইনমেন্ট পুনরায় লেখা লাগতে পারে। এজন্য এ্যাসাইনমেন্ট তৈরীর সময় নিজের অর্জিত জ্ঞান ব্যবহার করতে হবে।
এসাইনমেন্ট কভার পেইজ ডিজাইন ( Exclusive)
২য় সপ্তাহের সপ্তম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট সমাধান
২৫ মার্চ ২০২১ তারিখে ২য় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট প্রকাশ করা হয়েছে । ২য় সপ্তাহে দুটি বিষয়ের উপর নির্ধারিত কাজ জমা দিতে হবে । নিচে এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া হল :
- ইংরেজী এসাইনমেন্ট সমাধান
Suppose stranger talks with you and he does not know where your school is. The person asks you to give direction. You both are standing in front of your home. Now draw a map of the way to your school from home and make a dialogue with direction to your school.
উত্তর : খুব শীঘ্রই দেওয়া হবে ।
- বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় সমাধান
১. ভাষা আন্দোলনের ঘটনাবলি ধারাবাহিকভাবে লেখ। তােমাদের বিদ্যালয়ে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক | মাতৃভাষা দিবস কীভাবে পালন করা হয়েছিল তার একটি পর্যায়ক্রমিক বর্ণনা দাও।
উত্তর : খুব শীঘ্রই দেওয়া হবে । yeanur tech
১ম সপ্তাহের নির্ধারিত কাজ
- বাংলা এসাইনমেন্ট সমাধান
যৌক্তিকতা নিরুপণ: নিচে উল্লিখিত অংশটি সাধুরীতিতে রচিত। উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে তার যৌক্তিকতা তুলে ধর।
‘সংবাদ পাইলাম, কাবুলিওয়ালার সহিত মিনির এই যে দ্বিতীয় সাক্ষাৎ তাহা নহে, ইতােমধ্যে সে প্রায় প্রত্যহ আসিয়া পেস্তা বাদাম ঘুষ দিয়া মিনির ক্ষুদ্র হৃদয়টুকু অনেকটা অধিকার করিয়া লইয়াছে।
আরও পড়ুন: বিভিন্ন ডিজাইনের এসাইনমেন্ট কাভার পেইজ (এক্সক্লুসিভ)
উত্তর :
Yeanur Tech
সাধু ভাষার বৈশিষ্ট্য
১. সাধু ভাষায় ক্রিয়াপদের রূপ পূর্ণাঙ্গ । যেমন : করিয়াছি, গিয়াছি।
২. সাধু ভাষায় সর্বনাম পদের রূপ পূর্ণাঙ্গ। যেমন : তাহার, তাহারা, তাহাদের।
৩. সাধু ভাষায় অনুসর্গের পূর্ণরূপ ব্যবহৃত হয়। যেমন : হইতে, দিয়া
৪. সাধু ভাষায় তৎসম শব্দের (সংস্কৃত শব্দ) প্রয়ােগ বেশি। যেমন : হস্ত, মস্তক, ঘৃত, ধৌত।
৫. সাধু ভাষার উচ্চারণ গুরুগম্ভীর।
৬. সাধু ভাষা সুনির্ধারিত ব্যাকরণের অনুসারী। এর কাঠামাে সাধারণত অপরিবর্তনীয়।
উদ্দীপকের অনুচ্ছেদটি সাধু ভাষায় রচিত । অনুচ্ছেদটিতে ব্যবহৃত সর্বনাম, ক্রিয়াপদ, অবয় ও তৎসম শব্দগুলাে নিম্নরূপ:
- সর্বনাম শব্দঃ তাহা
- ক্রিয়াঃ পাইলাম, আসিয়া, দিয়া, করিয়া, লইয়াছে।
- অব্যয়ঃ সহিত, ইতােমধ্যে
- তৎসম শব্দঃ সাক্ষাৎ,ক্ষুদ্র, হৃদয়
সাধু ভাষার যােক্তিকতা নিরূপণঃ : আমরা জানি সাধু ভাষায় সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের পূর্ণাঙ্গ রূপ ব্যবহৃত হয়। অনুচ্ছেদটিতেও সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের পূর্ণাঙ্গ রূপ ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন: তাহা, আসিয়া, করিয়া ইত্যাদি।সাধু ভাষায় অনুসর্গের পূর্ণাঙ্গ রূপ ব্যবহৃত হয়।অনুচ্ছেদটিতে দিয়া অনুসর্গটি ব্যবহৃত হয়েছে।এছাড়াও অনুচ্ছেদ এ কিছু তৎসম শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে।যেগুলাে দেখে আমরা বুঝদে পারি অনুচ্ছেদটি সাধু ভাষায় লেখা হয়েছে।সুতরাং যােক্তিতা নিরূপণ করা হলাে।
ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট উত্তর
আমাদের চারপাশে সৃষ্টিজগতের মাঝে মহান আল্লাহর একত্ববাদের অসংখ্য নমুনা বিদ্যমান। বাস্তব উদাহরণসহ এককত্ববাদের প্রমাণ উল্লেখ করে একটি পােস্টার তৈরি কর।
উত্তর : আল্লাহ তা’আলা এক ও অদ্বিতীয়। তাঁর কোন অংশীদার নেই। তিনি সকল ক্ষেত্রে পূর্ণতার অধিকারী এবং তার মধ্যে কোন অপূর্ণতার লেশমাত্র নেই। এই নিখিল বিশ্ব পরিচালনার ক্ষেত্রে তার কোন অংশীদার বা সমকক্ষ নেই এবং তিনিই একমাত্র ইলাহ বা উপাস্য অন্য কেউ তার মর্যাদায় আসীন হতে পারে না। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা’আলার একত্ববাদের অনেক প্রমাণ রয়েছে। স্তব উদাহরণসহ এককত্ববাদের প্রমাণ উল্লেখ করা হল :
সূর্যঃ আমরা সকলেই জানি সূর্য প্রতিদিন পূর্বে উদিত হয় আর পশ্চিমে অস্ত যায়। এই মহাবিশ্বে যদি দুইজন স্রষ্টা থাকতাে তাহলে কিন্তু সূর্যের উদয়-অস্ত নিয়ে সমস্যা হতাে। এক স্রষ্টা বলতাে সূর্য পশ্চিমে উদিত হােক আর এক স্রষ্টা বলতাে সূর্য পূর্বে উদিত হােক। আর যদি এমন হয় তাহলে পৃথিবীর সকল নিয়ম উল্টো হয়ে যেতাে বা এই পুরাে মহাবিশ্ব যে নিয়মে চলে তার ঠিক থাকতাে না, যার ফলে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যেতাে।
অন্যান্যঃ একটি দেশে যদি দুইজন প্রধানমন্ত্রী থাকে তাহলে যেমন তাদের মধ্যে দ্বন্দ লাগতাে এবং তারা যেভাবে যুদ্ধ করতাে তাতে সেই দেশের সব কিছু ধ্বংস হয়ে যেতাে।
এরকম আরাে অনেক বাস্তব উদাহরন আছে যার দ্বারা বুঝা যায় কোনাে স্রষ্টা যদি দুইজন থাকে তাহলে কোনাে কিছুই নির্দিষ্ট নিয়মে চলবে না। যার জন্য স্রষ্টা একজন।
আর আমরা উপরােক্ত সব উদাহরন থেকে বুঝতে পারি সেই স্রষ্টা মহান আল্লাহ তায়ালা এবং এর দ্বারা তার একত্ববাদ প্রকাশ পায়।
আরও পড়ুন : সকল শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর
হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর
ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয় এবং নিরাকার। তবে সব সাকার রূপ একই ঈশ্বরের বিভিন্ন। প্রকাশ”- যুক্তি বিশ্লেষণ পূর্বক ব্যাখ্যা কর।
সংকেত: ১। ঈশ্বরের স্বরূপ ২। ঈশ্বরের একত্ব
উত্তর :
ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয় এবং নিরাকার। তবে সব সাকার রূপ একই ঈশ্বরের বিভিন্ন প্রকাশ।”- নিচে উক্তিটির যর্থাথতা বিশ্লেষণ করা হলাে :-
ঈশ্বর অর্থ প্রভু। তিনি সর্বশক্তিমান ও সর্বশ্রেষ্ঠ। তিনি সব কিছুর নিয়ন্তা। জীব ও জগতের ওপর তিনি প্রভুত্ব করেন বলে তাকে ঈশ্বর বলা হয়। তিনিই সকল শক্তি ও গুণের আধার। তাঁর আদি নেই, তাই তিনি অনাদি। তাঁর অন্ত নেই, তাই তিনি অনন্ত। তাঁর বিনাশ নেই, তাই তিনি অবিনশ্বর। তিনি নিজেকে নিজেই সৃষ্টি করেছেন, তাই তাকে স্বয়ম্ভ বলা হয়। ঈশ্বরকে পরমেশ্বর নামেও ডাকা হয়। তিনি জগতের সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা এবং ধ্বংসকর্তা। তিনিই জীবের মধ্যে আত্মারূপে অবস্থান করেন। ঈশ্বরের অনন্ত গুণ, অনন্ত রূপ, অনন্ত ভাব এবং বিচিত্র তার লীলা। জ্ঞানীর কাছে তিনি ব্রহ্ম, যােগীর কাছে তিনি পরমাত্মা এবং ভক্তের কাছে ভগবান। হিন্দু ধর্মে একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলাে ঈশ্বরতত্ত্ব। এই বৈশিষ্ট্য দ্বারা বােঝানাে হয়েছে ঈশ্বর নিরাকার। তিনি এক এবং অদ্বিতীয়। তবে তিনি প্রয়ােজনে সাকার রূপ ধারণ করতে পারেন। সাকার রূপ ধরে তিনি পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন। তখন তাঁকে অবতার বলা হয়। যখনই ধর্মের গ্লানি উপস্থিত হয় অথ্যা অন্যায় অবিচারে বিপর্যস্ত হয় মানবজীবন এবং অধর্মের অভ্যুত্থান ঘটে তখন। ঈশ্বর কোনাে না কোনাে রূপ ধারণ করে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন। যেমন- দ্বাপর যুগে ঈশ্বর বা ভগবান স্বয়ং কৃষ্ণরূপে পৃথিবীতে এসেছিলেন।
অন্যান্য অবতারও ঈশ্বরেরই অংশ। আর শ্রীকৃষ্ণ ঈশ্বরের পূর্ণ অবতার। আর তাইতাে বলা হয়েছে
‘কৃষ্ণস্তু ভগবান্ স্বয়ম্’- অথ্যাৎ শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং ভগবান।
বিভিন্ন দেব-দেবী এক ঈশ্বরেরই ভিন্ন ভিন্ন গুণ বা ক্ষমতার প্রকাশ মাত্র। এই এক ঈশ্বরকেই আমরা বিভিন্ন নামে অভিহিত করি। অথ্যাৎ দেব-দেবীরা ঈশ্বরের এক বিশেষ গুণ বা শক্তির সাকার রূপ। যেমন- ব্রহ্মা সৃষ্টির দেবতা, বিষ্ণুরূপে ঈশ্বর জীবজগৎকে রক্ষা ও প্রতিপালন করেন, শিবরূপে তিনি ধ্বংস করে পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষা করেন। অপরদিকে দুর্গা শক্তির দেবী, সরস্বতী বিদ্যার দেবী, লক্ষী ধন-সম্পদের দেবী ইত্যাদি।
আবার, ঈশ্বর যখন জীবের মধ্যে আত্মারূপে অবস্থান করেন তখন তাকে জীবাত্মা। বলে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবের মধ্যে ঈশ্বরের অবস্থান সম্পর্কে বলেছেন –
“সীমার মাঝে অসীম তুমি বাজাও আপন সুর ” আমার মধ্যে তােমার প্রকাশ তাই এত মধুর।
অথ্যাৎ দেহের সীমায় জীবাত্মারূপে পরমাত্মা বা ঈশ্বর বিদ্যমান থাকেন। সুতরাং বলা যায়- ঈশ্বর নিরাকার; তিনি সাকার রূপ ধারণ করতে পারেন। সব সাকার রূপই ঈশ্বরের বিভিন্ন প্রকাশ মাত্র। ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয় এবং নিরাকার ।
খ্রিষ্টধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট
যীশুর দুইটি স্বভাব: মানবীয় ও ঐশ্বরিক। | তিনি পূর্ণ ঈশ্বর ও পূর্ণ মানব”- উল্লেখিত বিষয়ের আলােকে একটি প্রবন্ধ লেখ। (সর্বোচ্চ ৩০০ শব্দ)
সংকেত : ঘ) যীশুর প্রতিকৃতি অংকন
উত্তর :
ক) যীশুর জন্মের ঘটনা
২৫ শে ডিসেম্বর বড়দিন। যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন। বড়দিন একটি পবিত্র ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এই দিনটিতে খ্রিস্টানরা যীশুখ্রিষ্টের জন্মবার্ষিকী উদযাপন পালন করে। যদিও বাইবেলে যীশুর জন্মের কোন দিন ক্ষণ পাওয়া যায়নি। খ্রিস্টানদের বিশ্বাস মতে ২৫ শে ডিসেম্বর যীশুর জন্ম তারিখ ধরা হয়। উপহার একচেঞ্জ করা, ক্রিসমাস ট্রি সাজানাে, মিষ্টি বিতরণ করা আর অব্যশই সান্তা ক্লজের অপেক্ষা করা।
যিশু ছিলেন একজন ইহুদি ধর্মপ্রচারক। যিনি খ্রিস্টধর্মের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে গণ্য হন। তিনি নাসরতের যিশু নামেও অভিহিত হন। যিশুকে প্রদত্ত উপাধি খ্রিস্ট থেকে খ্রিস্টধর্মের নামকরণ করা হয়েছে।
আদি বাইবেল অনুযায়ী ২৫ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্ম হয় এবং তখন থেকে এই দিনযিশু খ্রিস্টের জন্মদিন হিসাবে ধরা হয়। যদিওবা প্রাচীন। ইউরােপ মহাদেশের নানা বিদ্রহের মধ্যে লেখা নানান বই থেকে এর তারিখ আলাদা মনে হয়।
খ) যীশুর ঐশ্বরিক গুণাবলি
যীশুর প্রকাশ্য প্রচার জীবনে অনেকে নিরাময় লাভ করে তাঁকে প্রভু বলে সম্বােধন করেছে। যীশুকে প্রভু বলার মধ্য দিয়ে তাঁর প্রতি তাদের শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। যীশুর পুনরুত্থানের পর মানুষের বিশ্বাস আরও গভীর হয়ে ওঠে। প্রেরিতশিষ্যেরা যীশুকে ‘প্রভু আমার, ঈশ্বর আমার বলে স্বীকার করেন এবং উনিই প্রভু বলে প্রচার করেন।
আমরাও যীশুকে প্রভু বলে ডাকি। তাঁর নামে পিতার কাছে আমাদের প্রয়ােজনের জন্য অনুনয় করি। কোনাে কোনাে প্রার্থনার শুরুতে তাঁকে ‘হে প্রভু যীশু’ বলে সম্বােধন করি। আবার সব প্রার্থনার শেষে প্রভু যীশুর নামে’ বলে শেষ করি। কারণ তিনি মৃত্যুকে জয় করেছেন, তিনি পুনরুত্থিত হয়েছেন এবং পিতা তাঁকে সর্বময় ক্ষমতা দিয়েছেন। আমরা যীশুর ওপর পরিপূর্ণ আস্থা রাখতে পারি। তিনি মানবজাতিকে পরিত্রাণ এনে দিয়েছেন। তার ক্ষমতা, সম্মান ও গৌরব মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে।
গ) যীশুর মানবীয় গুণাবলি
যীশু ঈশ্বর থেকে মানুষ হয়েছেন। তিনি প্রকৃত ঈশ্বর ও প্রকৃত মানুষ। একজন মানুষের থাকে দেহ, মন ও আত্মা। দেহমন-আত্মার প্রকৃতি নিয়ে মানুষ জন্ম নেয় এবং পূর্ণাঙ্গ মানবীয় স্বভাবে বেড়ে উঠে। মানুষকে ঈশ্বর সৃষ্টির অন্যান্য সবকিছু থেকে আলাদা করে সৃষ্টি করেছেন। মানুষকে দিয়েছেন বুদ্ধি ও ঈচ্ছাশক্তি, যেটি অন্য কোনাে সৃষ্ট বস্তু বা প্রাণীর নেই। তাই মানুষ অন্যসব জীবজন্তু আলাদা।
নারীগর্ভে জন্ম নিয়ে যীশু দেহ-মন আত্মার প্রকৃতি পেয়েছেন। তিনি পূর্ণাঙ্গ মানবীয় স্বভাবে বড় হয়েছেন। মানুষের হাসিকান্না দুঃখবেদনা কিংবা আনন্দের সাথে তিনি একাত্ম হয়েছেন। তিনি আকারে-প্রকারে ও স্বভাবে সম্পূর্ণ মানুষ যীশুর মানবীয় স্বভাব নিয়ে বিভিন্ন ভ্রান্ত মতবাদ ছিল। মণ্ডলীর পরিচালকগণ এবং পণ্ডিতগণ এই সত্য প্রকাশ করেছেন যে যীশু ঈশ্বর থেকে আগত মানুষ।
যীশুর দুইটি স্বভাব: মানবীয় ও ঐশ্বরিক। তিনি পূর্ণ ঈশ্বর ও পূর্ণ মানুষ। মানবীয় দেহ, বুদ্ধি, ইচ্ছাশক্তি এবং তাঁর সকল কার্যাবলির জন্য তিনি প্রকৃত মানুষ। মানুষ হয়েও তিনি আলাদা। কারণ তিনি মানুষ ও ঈশ্বর। ঈশ্বরত্বে ও প্রভুত্বে তিনি সম্পূর্ণ ঈশ্বর।তিনি ক্রশবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। তারপর কবর থেকে পুনরুত্থিত হয়ে তিনি মানবজাতির পরিত্রাণ এনেছেন।
ঘ) যীশুর প্রতিকৃতি অংকন
বৌদ্ধধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট
তােমার এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যে সমস্ত | মূল্যবােধ প্রতিপালন করার প্রয়ােজন হয় সে রকম ১০টি মূল্যবােধের একটি তালিকা তৈরি কর।
উত্তর :
মানুষের জীবন মাত্রই সুখ-দুঃখের মিলিত রূপ। সুখের পাশাপাশি দুঃখের হাত থেকেও নিস্তার নেই কারও। জরা, রােগ, মৃত্যু- এ সবই দুঃখ। বুদ্ধের মতে মানুষের কামনা-বাসনাই দুঃখের মূল। মাঝে মাঝে যে সুখ আসে তাও দুঃখের মিশেলে এবং অস্থায়ী। অবিমিশ্র সুখ বলে কিছু নেই । গৌতম বুদ্ধ বলেন, নির্বাণ লাভ কিংবা কামনা-বাসনা থেকে মুক্তি লাভে দুঃখের অবসান ঘটে। এর মধ্য দিয়ে দূর হয় অজ্ঞানতা, মেলে পূর্ণ শান্তি। সত্যজ্ঞান, আনন্দ এবং ইতিবাচকতার জন্য আমরা তাই বুদ্ধের কাছে যাই। সুখের সন্ধানে অনুসরণ করি তাঁর বাণী।
সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যে সমস্ত মূল্যবােধ প্রতি পালন করা প্রয়ােজন সে রকম ১০ টি মূল্যবােধের একটি তালিকা নিচে তুলে ধরা হলােঃ
১। অতীতকে প্রাধান্য দিও না, ভবিষ্যত নিয়ে দিবাস্বপ্নও দেখবে না। তার চেয়ে বরং বর্তমান মুহূর্ত নিয়ে ভাবাে।
২। সবকিছুর জন্য মনই আসল। সবার আগে মনকে উপযুক্ত করাে, চিন্তাশীল হও আগে ভাবাে তুমি কী হতে চাও।
৩। আনন্দ হলাে বিশুদ্ধ মনের সহচর। বিশুদ্ধ চিন্তাগুলাে খুঁজে খুঁজে আলাদা করতে হবে। তাহলে সুখের দিশা তুমি পাবেই।
৪। তুমিই কেবল তােমার রক্ষাকর্তা, অন্য কেউ নয়।
৫। জীবনের প্রথমেই ভুল হওয়া মানেই এই নয় এটিই সবচেয়ে বড় ভুল। এর থেকে শিক্ষা নিয়েই এগিয়ে যাও।
৬। অনিয়ন্ত্রিত মন মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলে। মনকে প্রশিক্ষিত করতে পারলে চিন্তাগুলােও তােমার দাসত্ব মেনে নেবে।
৭। তােমাদের সবাইকে সদয়, জ্ঞানী ও সঠিক মনের অধিকারী হতে হবে। যতই বিশুদ্ধ জীবনযাপন করবে, ততােই উপভােগ করতে পারবে জীবনকে।
৮। আমরা অনেকেই একটা কিছুর সন্ধানে পুরাে জীবন কাটিয়ে দেই। কিন্তু তুমি যা চাও তা হয়তাে এরইমধ্যে পেয়েছ সুতরাং, এবার থামাে।
৯। সুখের জন্ম হয় মনের গভীরে। এটি কখনও বাইরের কোনাে উৎস থেকে আসে না।
১০। অন্যের জন্য ভালাে কিছু করতে পারাটাও তােমার জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
পরিশেষে বলা যায় যে সমাজে বা রাষ্ট্রে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যে গৌতম বুদ্ধের উপদেশ ও আদর্শ আমাদের সবার মেনে চলতে হবে। তবেই সমাজ থেকে অহিংসা,লােভ দূর হয়ে শান্তি ফিরে
আসবে।
বিশেষ সতর্কতা : উপরোক্ত নমুনা উত্তরগুলো দেওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্য হল, শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত বিষয়ের উপর ধারণা দেওয়া । ধারণা নেওয়ার পর অবশ্যই নিজের মত করে এসাইনমেন্ট লিখতে হবে ।
২য় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট
প্রথম সপ্তাহের নির্ধারিত কাজ জমা দেওয়ার পর দ্বিতীয় সপ্তাহের কাজ দেওয়া হবে । ২য় সপ্তাহে ৬ষষ্ঠ শ্রেণীতে যেসকল বিষয়ের উপর এসাইনমেন্ট জমা দিতে হবে :-
- ইংরেজী
- বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়
নোটিশ অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের ২০ সপ্তাহ পর্যন্ত এসাইনমেন্ট জমা দিতে হবে ।
শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু নির্দেশনা
এসাইন্টমেন্ট তৈরির জন্য যা আগে প্রস্তুত রাখতে হবে এবং যেসব বিষয় মনে রাখতে হবে, তা হলােঃ-
- A4 Size এর কাগজের খাতা।
- খাতার Cover পৃষ্ঠায় বিদ্যালয়ের নাম, নিজের নাম, শ্রেণি, শাখা, রােল নম্বর, তারিখ, বিষয় ও নিজের স্বাক্ষর কলম দিয়ে সুন্দর করে লিখতে হবে।
- প্রতি বিষয়ের জন্য আলাদা খাতা হবে এবং প্রতিটি বিষয়ের খাতা একই নিয়মে তৈরী করতে হবে।
- খাতায় কোন ভাবে লাল কালির কলম কোনভাবেই ব্যবহার করা যাবে না।
- সব গুলাে খাতা একই Size অর্থাৎ A4 Size হতে হবে।
- হাতের লেখা সুন্দর, পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন হতে হবে।
- অন্য জনের থেকে কপি করে এসাইন্টমেন্ট তৈরি করা যাবে না।
- নিজের অর্জিত জ্ঞান ব্যবহার করে এসাইন্টমেন্ট তৈরি করতে হবে। যেটাতে শিক্ষার্থীর শিখন ফল প্রতিফলিত হয়।
- শিক্ষকের দেয়া নির্ধারিত তারিখ বা সময়ে লিখিত খাতা বিদ্যালয়ে জমা করতে হবে।
0 মন্তব্যসমূহ